মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে জানুয়ারিতে, নীতিমালায় পরিবর্তনের ইঙ্গিত?
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ থেকে এই বিষয়ে আলোচনা চলছে। এ বছর ভর্তি নীতিমালায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনার সম্ভাবনা রয়েছে, যার মধ্যে এইচএসসি মানোন্নয়নের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে, গত শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রণীত নীতিমালায় বেশ কিছু পরিবর্তন আসতে পারে। দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য কোটার শর্তাবলী নির্ধারণ, মানোন্নয়নের শিক্ষার্থীদের সুযোগ দেওয়া, এবং ভর্তি পরীক্ষার জিপিএ নম্বর কমানোসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। তবে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, "মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের বেশ কিছু দাবি রয়েছে। এসব দাবি বিবেচনায় নিয়ে নীতিমালায় পরিবর্তন আনার চিন্তা চলছে। তবে এখনো সবকিছু প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত স্টেকহোল্ডারদের সভার পর নেওয়া হবে।"
মানোন্নয়ন পরীক্ষার্থীদের সুযোগ প্রসঙ্গে তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল সম্প্রতি স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে এবং তাদের দাবি উপস্থাপন করেছে। উপদেষ্টা বিষয়টি বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন। তাই আশা করা হচ্ছে, মানোন্নয়নের শিক্ষার্থীরাও এবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।
ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য সময় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, "সাধারণত এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের তিন মাসের মধ্যে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তাই জানুয়ারিতে পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা যে সিদ্ধান্ত দেবেন, তা অনুযায়ী পরীক্ষা হবে।"
আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, এ বছর ভর্তি পরীক্ষার নম্বর বণ্টনেও পরিবর্তন আসতে পারে। ১২০ নম্বরের পরীক্ষা আয়োজনের প্রস্তাব রয়েছে, যার মধ্যে ১০০ নম্বর এমসিকিউ এবং বাকি ২০ নম্বর জিপিএ ভিত্তিক হতে পারে। তবে এটি এখনো অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচিত হয়েছে, চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
জিপিএ নম্বর বণ্টন নিয়ে এক কর্মকর্তা বলেন, "এসএসসি এবং এইচএসসির জিপিএ ভিত্তিতে নম্বর বণ্টন করার প্রস্তাব রয়েছে। এসএসসির জিপিএকে ১.৫ দিয়ে এবং এইচএসসির জিপিএকে ২.৫ দিয়ে গুণ করে নম্বর নির্ধারণের আলোচনা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয় থেকে নেওয়া হবে।"

Join the conversation