ফজরের নামাজের নিয়ম এবং প্রয়োজনীয় আমল
ফজরের নামাজ ইসলামের পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের মধ্যে প্রথম। এটি দৈনিক ইবাদতের সূচনা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। ফজরের নামাজ দুই রাকাত ফরজ এবং এর আগে দুই রাকাত সুন্নত হিসেবে পড়া হয়। নামাজের সময় হয় সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত। এই নামাজে সময়মতো উপস্থিত হওয়া ও খুশু-খুযু সহকারে নামাজ আদায় করার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, কারণ এটি দিনের শুরুতে একজন মুমিনের আল্লাহর সাথে সম্পর্ক দৃঢ় করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। পবিত্র কুরআন এবং হাদিসে ফজরের নামাজের ব্যাপারে বিশেষ ফজিলতের কথা বলা হয়েছে।
ফজরের নামাজ আদায় করার পর কিছু নফল আমল যা চাইলে চাইলে করতে পারেন।
১. প্রত্যেক ফরজ নামাজ শেষে তিনবার আসতাগফিরুল্লাহ তারপর ‘আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম, তাবারকতা ইয়া যাল-জালা-লি ওয়াল ইকরাম’ (রা. সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর করা আমল)
২. সুবহা-নাল্লাহ ৩৩ বার, আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার, আল্লাহু-আকবার ৩৩ বার।
৩. আয়াতুল কুরসিঃ আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্বইয়্যুমু লা তা খুজুহু সিনাত্যু ওয়ালা নাউম। লাহু মা ফিছছামা ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্। মান যাল্লাযী ইয়াস ফায়ু ইন দাহু ইল্লা বি ইজনিহি ইয়া লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খল ফাহুম ওয়ালা ইউ হিতুনা বিশাই ইম্ মিন ইল্ মিহি ইল্লা বিমা সাআ ওয়াসিয়া কুরসিইউ হুস ছামা ওয়াতি ওয়াল আরদ্ ওয়ালা ইয়া উদুহু হিফজুহুমা ওয়াহুয়াল আলিয়্যূল আজীম।
৪. ‘আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান নার’ ৭ বার।
৫. সুরা ইখলাস, ফালাক্ব ও সুরা নাস, প্রতিটি তিনবার করে।
৬. দরুদ শরীফ ১০ বার।
৭. ‘রাদ্বীতু বিল্লাহি রাব্বা, ওয়াবিল ইসলামি দ্বীনা, ওয়াবি মুহাম্মাদিন নাবিয়্যা’ ৩ বার।
৮. সুব্হানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি ১০০ বার
৯. রোগমুক্তির জন্যঃ ওয়া ইজা মারিদতু ফা হুয়া ইয়াশফি-নি।
অর্থ : যখন আমি রোগাক্রান্ত হই, তখন তিনিই আরোগ্য দান করেন।
১০. রিজিক বৃদ্ধির জন্য দোয়াঃ রাব্বি ইন্নি লিমা- আনজালতা ইলাইয়া মিন খাইরিন ফাকির।
অর্থ : হে আমার পালনকর্তা, তুমি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ পাঠাবে, আমি সেটার মুখাপেক্ষী। (সুরা
আল-কাসাস, আয়াত : ২৪)
Join the conversation