ঘুমের গুরুত্ব: কেন প্রতিরাতে ৭–৮ ঘণ্টা ঘুম অপরিহার্য (বিজ্ঞান ও ইসলামিক দৃষ্টিকোণ)
ঘুম স্বাস্থ্য ও জীবনের মান উন্নয়নে এক অবমূল্যণীয় ভূমিকা পালন করে। ইসলাম এবং আধুনিক বিজ্ঞান—দু'টোই প্রতিরাতে ৭–৮ ঘন্টা ঘুমকে স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার মূল ভিত্তি হিসেবে তুলে ধরে। নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

১. ঘুমের ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গি
ইসলামে ঘুমকে আল্লাহর একটি অলৌকিক নিয়ন্ত্রণ হিসেবে বলা হয়। কুরআনে আল্লাহ বলেন, “আরীন... তিনি তোমাদের ঘুমের মধ্যে থেকে অবিরাম ওষুধ দেন।” (সূরা ফুরকান, ২৫:৪৭)
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: “যদি তোমরা জানত ঘুম কত বরকত, তবে তোমরা প্রার্থনায় কম পথ চালিত হত।” (তিরমিজি)
এতে বোঝা যায়—ভালো ঘুম শুধু শারীরিক নয়, আত্মারও মৃত্যুদূর করার মাধ্যমে জীবনকে সম্পূর্ণ করে।
২. বিজ্ঞান অনুযায়ী ঘুমের প্রয়োজন
বিজ্ঞানের আলোকে ঘুম একটি পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া। মস্তিষ্কের নিউরনগুলো তথ্য প্রক্রিয়া ও স্মৃতি সংরক্ষণে কাজে লাগিয়ে নেয়। ঘুম হরমোনের ব্যালান্স রক্ষা করে, ইমিউন শক্তি বাড়ায়, ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
৩. প্রতিদিন ৭–৮ ঘন্টা কেন?
নিয়মিত ৭–৮ ঘন্টা ঘুম মানে:
- স্মৃতি ও মনোযোগ বৃদ্ধি
- মানসিক চাপ কমানো
- ইমিউন সিস্টেম সুদৃঢ়
- ওজন ও হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
৪. পরিপূর্ণ জীবন ও ঘুম
শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক সমন্বয়ের জন্য ঘুম অপরিহার্য। ইসলাম ও বিজ্ঞান , উভয়ই ঘুমকে সৌন্দর্য, স্থিতিশীলতা ও স্বাস্থ্যপূর্ণ জীবনযাপনের মেরুদণ্ড হিসেবে দেখতে চায়।
৫. ভালো ঘুমের জন্য টিপস
- ডিভাইস ছাড়াও ৩০ মিনিট আগে প্রস্তুতি নিন।
- ঘর অন্ধকার ও শান্ত রাখুন।
- নিয়মিত সময় ঘুমতে যান ও উঠুন।
- ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল পরিহার করুন।
- মধ্যম মাত্রার ব্যায়াম সহ সহজ ডায়েট অনুসরণ করুন।
৬. ঘুম পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া
ঘুমের বিভিন্ন স্তর (NREM ও REM) শরীর ও মস্তিষ্ককে পুরোপুরি পুনরুদ্ধার করে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে এটি অসম্পূর্ণ থেকে যায়, যা দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির কারণ হতে পারে।
সারমর্ম
সুতরাং, ঘুম শুধু বিশ্রাম নয়—এটি জীবনকে পূর্ণতা ও সমগ্রতা দেয়। ইসলাম ও বিজ্ঞান থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রতিরাতে ৭–৮ ঘন্টা ঘুমকে গুরুত্ব দিন। এতে আপনি পাবেন শান্তি, শক্তি ও সুস্বাস্থ্য।
Join the conversation