মোবাইল কেনার আগে যা যা জানা দরকার – স্মার্ট ক্রয়ের চূড়ান্ত গাইড
আজকের স্মার্ট যুগে মোবাইল ফোন কেবল যোগাযোগের মাধ্যম নয়, এটি আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ছবি তোলা, ভিডিও দেখা, অফিসের কাজ, সোশ্যাল মিডিয়া — সবই এখন মোবাইলের মাধ্যমে সম্ভব। তাই একটি মোবাইল কেনার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক বিবেচনা করা খুব জরুরি, যাতে আপনার অর্থ এবং প্রয়োজন — উভয়ের সদ্ব্যবহার হয়।
১. নিজের প্রয়োজন বুঝে মোবাইল বাছাই করুন
আপনি মোবাইলটি কী কাজে ব্যবহার করবেন — সেটাই ঠিক করবে আপনার জন্য উপযুক্ত ফোন কোনটি। যদি আপনি কেবল ফোন কল, মেসেজ বা সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য ফোন ব্যবহার করেন, তাহলে সাধারণ বাজেটের ফোনই যথেষ্ট। কিন্তু যদি আপনি গেম খেলেন, ভিডিও এডিটিং করেন বা ভালো ফটোগ্রাফি চান, তাহলে মিড-রেঞ্জ বা হাই-এন্ড ফোন বেছে নিতে হবে।
২. প্রসেসর ও পারফরম্যান্স
মোবাইলের পারফরম্যান্স নির্ভর করে প্রসেসরের উপর। Snapdragon, MediaTek, Exynos — জনপ্রিয় প্রসেসরগুলোর মধ্যে আপনার চাহিদা অনুযায়ী নির্বাচন করুন। গেম খেলার জন্য 6 বা 7 সিরিজের Snapdragon প্রেফারযোগ্য।

৩. RAM ও Storage
কমপক্ষে 4GB RAM এবং 64GB Storage থাকলে ভালো। যাদের কাজ বেশি, তারা 6GB বা 8GB RAM যুক্ত ফোন নিতে পারেন। Internal Storage বেশি থাকলে অ্যাপস, ছবি, ভিডিও সংরক্ষণে সুবিধা হয়।
৪. ডিসপ্লের মান ও সাইজ
AMOLED বা Full HD+ ডিসপ্লে থাকলে ভিডিও ও ছবি দেখার অভিজ্ঞতা উন্নত হয়। বড় স্ক্রিনে ভিডিও দেখা ও কাজ করা সহজ হলেও, এক হাতে ব্যবহারের সুবিধার জন্য মাঝারি স্ক্রিন সাইজ বেছে নিতে পারেন।
৫. ক্যামেরার কোয়ালিটি
মেগাপিক্সেল নয়, সেন্সর, অ্যাপারচার এবং সফটওয়্যার প্রসেসিং গুরুত্বপূর্ণ। সেলফি ও রাতের ছবি ভালো পেতে ফ্রন্ট ক্যামেরা ও নাইট মোড পারফরম্যান্স যাচাই করুন।
৬. ব্যাটারি ও চার্জিং
৫০০০ mAh ব্যাটারি ও 18W+ ফাস্ট চার্জিং থাকা ফোন সারা দিন ব্যবহার উপযোগী। টাইপ-সি পোর্ট যুক্ত ফোনই এখন স্ট্যান্ডার্ড।
৭. সফটওয়্যার ও UI
ফোনে কোন অপারেটিং সিস্টেম ও ইউআই আছে তা দেখুন। Android One বা Pixel UI সেরা অভিজ্ঞতা দেয়। এছাড়া নিয়মিত সিকিউরিটি আপডেট পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
৮. ব্র্যান্ড ও সার্ভিস সেন্টার
বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড যেমন Samsung, Xiaomi, Realme, Apple – এসবের অথেন্টিক সার্ভিস সেন্টার আছে কি না দেখে নিন। সমস্যা হলে দ্রুত সেবা পাওয়ার জন্য স্থানীয় ওয়ারেন্টি থাকলে ভালো হয়।
৯. ৫জি ও ভবিষ্যৎ প্রস্তুতি
যদিও এখনো ৫জি পুরোপুরি চালু হয়নি, তবে ফিউচার প্রুফ হতে চাইলে ৫জি সাপোর্টেড ডিভাইস বিবেচনায় রাখতে পারেন।
১০. ইউটিউব রিভিউ ও রেটিং যাচাই
ফোন কেনার আগে ভিডিও রিভিউ ও ইউজার ফিডব্যাক দেখে নিন। এতে বাস্তব অভিজ্ঞতা জানা যায় এবং ভুল পছন্দ এড়ানো সম্ভব হয়।
উপসংহার
মোবাইল কেনার সময় আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন নয়, বরং নিজের প্রয়োজন বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়াই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। বাজেটের মধ্যে সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে হলে উপরোক্ত দিকগুলো ভালোভাবে যাচাই করুন। এতে করে আপনি শুধু ভালো মোব
Join the conversation